কুমিল্লায় বোরো ধান সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষকরা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেশি

কুমিল্লা জেলায় বোরো ধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ বেশি হয়েছে। তবে মাঝে কালবৈশাখি ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের বাম্পার না হলেও মোটমুটি ভালো ফলন পাবে জেলার ষাট হাজারের অধিক গৃহস্থ-কৃষকরা।

কুমিল্লা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলিপ কুমার অধিকারী জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদের পরিমান বেশি হয়েছে। এ বছর কুমিল্লা জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছিলো ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি। আর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত পুরো লক্ষ্যমাত্রার ১৫ ভাগ সংগ্রহ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আগামী কুড়ি দিনের মধ্যে মাঠে থাকা বাকী ৮৫ ভাগ বোরো ধান কর্তণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

সরেজমিনে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলা, বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া,চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিন উপজেলায় ঘুরে অন্তত কুড়িজন কৃষক-গৃহস্থদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে মাঝে কালবৈশাখি ঝড় ও শীলা বৃষ্টি না হলে বাম্পার ফলন পেতো বলে জানান তারা। তবে কৃষকরা আশংকা প্রকাশ করে বলেন, এখন যে আবহাওয়া আছে এমন আবহাওয়া যদি অব্যহত থাকে তাহলে নির্বিঘ্নে কষ্টের ফসল গোলায় তুলতে পারবেন। আর যদি লাগাতার বৃষ্টি কিংবা শীলা বৃষ্টি হয় তাহলে বেশ বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন ভূইয়া জানান, চলতি এপ্রিল মাসের শেষ দিকে এবং মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি ও অস্থায়ী শীলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে যত যাই কৃষকদের এখন চাওয়া গত তিন মাসের পরিশ্রমের ফসল যা তাদের পরিবারের অন্ন সংস্থানসহ পরিবারের ভরণপোষনের যে ফসল তা গোলায় তোলার পরেই যেন বৃষ্টি বাদল হয়। অন্যথায় বড় ক্ষতি গুনতে হবে।

ছবি ক্যাপশন। বোরো ধান সংগ্রহ করতে ব্যস্ত কৃষকরা। ছবিটি আদর্শ সদর উপজেলার শিমপুর এলাকা থেকে তোলা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment